ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড : কিভাবে আগুন লেগেছিলো বঙ্গবাজারে

কিভাবে আগুন লেগেছিলো বঙ্গবাজারে ?

ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ছবি
রাস্তার বিপরীত দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়, অগ্নিনির্বাপণ সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করার জন্য বাজারের চারদিকের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
                    

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জানায় যে, প্রথম আগুন লাগে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে।


আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৫০ টি ইউনিট কাজ করেছিলো। তবে আগুন খুব বেশি তীব্র হওয়ার কারণে পানির সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে আগুন নিভাতে অসিবধার কারণ হয়ে দাড়ায়।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যে দোকানের মালিক এবং কর্মচারীরা তাদের দোকান থেকে মালামাল গুলো সরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করলেও দুর্ভাগ্যবশত, অনেক ব্যবসায়ী তাদের পণ্য আলাদা করতে পারেনি, যার ফলে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে।


দোকানিদের অভিযোগ, আগুন লাগার সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসকে জানালেও , ফায়ার কর্মিরা আসতে দেরি করে। একারণে আগুন আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। প্রথমেই আগুন লেগেছিলো গুলিস্থান মার্কেটে তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গবাজার । তারপর তা আস্তে আস্তে অন্যান্য ভবনে ছড়িয়ে পড়ে এবং কাপড়ের মার্কেটে আগুন লেগে যায়।


অনেক দোকানির কান্না আর আহাযারী থামার নাম নেই, কেনোনা তারা ইদকে সামনে রেখে সকল পুজি দিয়ে মালামাল ক্রয় করেছিলো । কিন্তু নিমিষেই সব চোখের সামনেই পুড়ে ছাই হয়ে গেলো


বঙ্গবাজারের শত শত দোকান পড়ে ছাই হয়ে এখন পথে বসেছে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগকারীরা।

এনেক্সকো মার্কেটের
বিনিয়োগকারী বিজনেস ম্যান জনাব মো. কালাম বলেন, প্রায় সব পড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। কিছু রক্ষা করার প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু মানুষের ভিড়ের কারণে এটুকুও করতে পারছি না। এত বড় বড় কাপড়ের বোঝা নিয়ে নিয়ে নিচে নামতে চাচ্ছি কিন্তু কেউ সহযোগিতা করছেনা বরং তারা দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভিডিও আর ছবি তুলছে বঙ্গবাজারের। মানুষের ভিড় না থাকলে কিছু মালামাল সেভ করতে পারতাম।


ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নুর তাপস জানান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড


মেয়র ফজলে নুর তাপস বলে
নঃ যেকোনো দুর্যোগ সংঘটিত হলে তার প্রথম ধাপ হলো উদ্ধার কাজ চালানো। তা গতকাল সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। সব কিছুর মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করে পরিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আমি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, আমরা তালিকা করে ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করার পরেই সব ছোট বিনিয়োগকারীদের সাধ্যমত অনুদান দেবো। যার ফলো তারা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তারা যেন আবার এই ব্যবসায় নামতে পারে এবং তাদের সেটি পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। সেই দিকটাই এখন আমাদের সবার অগ্রাধিকার।

Post a Comment

Previous Post Next Post