১০ টি অবিশ্বাস্য অজানা ফ্যাক্ট যা জানলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে

১০ টি অবিশ্বাস্য অজানা ফ্যাক্ট যা জানলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে


যদি মনে করে থাকেন ইউটিউবে সারাদিন সময় কাটিয়ে আপনি অনেক কিছু জেনে ফেলেছেন, বিশাল এই পৃথিবীর বিস্তার নলেজ আপনার মাথায় গিজগিজ করছে, তাহলে জনাব এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন এখনো পৃথিবীর কত কিছু জানার বাকি রয়ে গেছে। তাই আমি আজকের এই ধামাকাদার এই ফ্যাক্ট পোস্ট এ আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি...

ফ্যাক্ট নাম্বার ১



আপনারা মানুন আর নাই মানুন। হোক সে যে কোন মহিলা নিজের স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে কোন পুরুষ মানুষের শপিং করা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ মধ্যে একটি। কিন্তু চীনের একটি শপিং মল পুরুষ মানুষের এই কষ্টের বিষয়টাকে কম করার চেষ্টা করেছে। চীনের বেশকিছু শপিংমলে হাসবেন্ড স্টোরেজ নামের একটি অদ্ভুত সার্ভিস অ্যাভেলেবল রয়েছে। শপিংয়ের জন্য আসা মহিলারা হাসবেন্ড স্টোরেজে নিজের হাসবেন্ডকে রেখে অনায়াসে শপিং করতে পারবেন।

ভাই আমি তো এই ক্যাবিনে ওয়াইফ ছাড়া শুধুমাত্র wifi নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিতে পারবো 😂


ফ্যাক্ট নাম্বার ২



দুধের অনেকগুলো ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা জানেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন দুধ দিয়ে প্লাস্টিক তৈরি করা সম্ভব। দুধের মাঝে Casein নামের একটি প্রোটিন পাওয়া যায়। গরম দুধ কে এসিডের সাথে রিয়াকশন করালে ক্যাসিন নামক সেই প্রোটিনগুলো কোল্ড হয়ে একটি চেইনের আকার ধারণ করে। যাকে বলা হয় পলিমার। দুধ থেকে তৈরি করা এই পলিমারকে যেকোনো আকারের প্লাস্টিকে রূপান্তর করা সম্ভব। দুধ থেকে তৈরি করা প্লাস্টিক অর্ডারেলেস বায়ো ডিগ্রেডেবল, অ্যান্টি অ্যালার্জেনিক, নন ফ্লামেবল এবং পানিতে দ্রবণীয়। সত্যি কথা বলতে এই প্লাস্টিক দারুন পরিবেশ বান্ধব। দুধ থেকে তৈরি করা এই প্লাস্টিক আমাদের অনেক প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হলেও যেখানে আমরা খাওয়ার জন্যই দুধ পাইনা সেখানে দুধ দিয়ে প্লাস্টিক তৈরি করতে কতটা খরচ হবে তা চিন্তা করে দেখুন।


ফ্যাক্ট নাম্বার ৩



প্রিয় ভিজিটর, আমাদের চোখ আমাদের নিজের শরীরের অনেক অংশই দেখতে সক্ষম নয়। যার মধ্যে একটি হচ্ছে আমাদের নিজেদের চেহারা। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই একটি জিনিস খেয়াল করে দেখেছেন, নাক আমাদের সবসময় চোখের সামনেই থাকে। আমরা চাইলেই চোখ বা্কিয়ে সেই নাককেই দেখতে পারি। কিন্তু যে পর্যন্ত আমরা নাকের দিকে খেয়াল না করি সেই পর্যন্ত আমরা আমাদের নাককে কেন দেখতে পাই না? আপনি জানেন কি এর পেছনে কি মজাদার কারণ রয়েছে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমি আপনাদেরকে জানাচ্ছি, একে বলা হয় Unconscious Selective Attension Process। আমাদের ব্রেইন প্রসেস এর কারণেই শুধুমাত্র ওই জিনিসের উপরেই ফোকাস করে থা্কে যা আমরা দেখতে চাই। আর অন্যান্য জিনিস গুলো কে একেবারে ইগ্নোর করে ব্লার করে দেয়। ব্রেনের মধ্যে চলতে থাকায় এই অদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে আমাদের না আমাদের চোখের সামনে থাকার পরও একেবারে ইনভিজিবল হয়ে থাকে। কি দর্শক 

এই ফ্যাক্ট কি আপনাকে খুশি করতে পারলো?


ফ্যাক্ট নাম্বার ৪



প্রায় সময় আমাদের সাথে এমন হতে থাকে যে যেকোনো একটি গান সুর আমাদের মনে থাকে, কিন্তু গানের কথাগুলো মনে আসেনা। আর সেই কারণে গানের সুর মনে থাকলেও সেই গানটি কে খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রিয় ভিজিটর আপনাদেরকে বলে দেই, এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের নতুন কোন অ্যাপস খুঁজে বের করার দরকার নেই। কারণ গুগলে অনেক আগে থেকেই এই ফিচারটি এড করা রয়েছে। আপনি যদি এমন কোন গান খুঁজে পেতে চান যা শুধুমাত্র সুরটাই আপনার মনে আছে তাহলে আপনি আপনার মোবাইলের গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ওপেন করে আইডেন্টিফাই দা সং বলে সেই গানের সুরটি লিরিকস ছাড়াই গুনগুন করে দেখুন। দেখবেন দেখতে দেখতেই গুগোল আপনাকে সম্ভাব্য গানগুলোকে বের করে দেবে। এই ফিচারটি কে গুগল 2020 সালে লঞ্চ করে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অনেক কম মানুষ রয়েছেন যারা গান খুঁজে বের করতেই এই ফিচারটি সম্পর্কে জানেন।

তবে এই ফিচারটির মাধ্যমে ইংলিশ এবং হিন্দি গান খুঁজে বের করা খুবই সহজ। বাংলা গানের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এই ট্রিকসটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার দিয়ে দেবেন


ফ্যাক্ট নাম্বার ৫



প্রিয় ভিজিটর, আপনারা টিভিতে কখনো না কখনো ওয়াইল্ডলাইফ ইগুয়ানা সম্পর্কে নিশ্চয়ই দেখেছেন। শান্ত স্বভাবের এই প্রাণীগুলো দেখতে গিরগিটির মতো। কিন্তু এগুলোর সাইজ সাধারণ টিকটিকির চাইতেও অনেক বড় হয়ে থাকে। কোন কোন জায়গায় এগুলোকে লালন পালন করা হয় আবার কোথাও কোথাও এগুলোকে খাওয়াও হয়ে থাকে। কিন্তু এই বড় বড় প্রাণী গুলো সম্পর্কে একটি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে এগুলো সাধারন কোন প্রাণীর মতন শুধু মাত্র দুটি চোখ নয়, তিনটে চোখ থাকে। ইগুয়ানা পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী যার কাছেই তৃতীয় চোখ রয়েছে। যাকে প্যারাটাইল আই(Parietal Eye) বলে থাকে।

এই চোখ দিয়ে দেখার সাথে সাথেই সেন্সরের মতন কাজও করে থাকে। যার সাহায্যে এগুলো আকাশ থেকে আসা বিপদ গুলোকে খুব দ্রুত টের পায় এবং তার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়


ফ্যাক্ট নাম্বার ৬



আমরা সবাই অনেক ধরনের আলাদা আলাদা বর্ণের ফুল দেখেছি। যেখান থেকে আলাদা আলাদা ঘ্রাণ পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কখনো এমন ফুল দেখেছেন যা থেকে চকলেট এর ঘ্রাণ আসে। আপনার হয়তো এখন বলবেন এ কিভাবে সম্ভব? কিন্তু দর্শক আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি এমন ধরনের ফুল মেক্সিকোতে পাওয়া যায়। যার ঘ্রাণ অবিকল চকলেট এর মতো। যা দেখতে লাল রঙের হয়ে থাকে। কিন্তু সেটির ঘ্রাণ চকলেট এর মতন। আর এই জন্যই এই ফুলকে চকলেট কসমস বলা হয়ে থাকে। 

তবে বেশি খুশি হওয়ার কারণ নেই, চকলেট ভেবে এই ফুলকে আবার খেতে যাবেন না। কারণ এর ভিতরে বিষাক্ত কেমিক্যাল এর অস্তিত্ত রয়েছে।


ফ্যাক্ট নাম্বার ৭



আপনার ব্রেইন নিয়ে একটি আজব ফ্যাক্ট বলছি। আপনার ব্রেইন যত বড় হবে আপনি তত বড় হাই তুলবেন। বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে হাই মূলত মানুষের ব্রেনকে রিফ্রেশ করার কাজ করে থাকে। আর ঠিক কি কারণে আপনার ব্রেন যত বড় হবে আপনার ব্রেনকে রিফ্রেশ করতে ততটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে। 
তবে হাই তোলার প্রকৃত কারণ এখনও বিজ্ঞানীদের নিকট অজানা। এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে।


ফ্যাক্ট নাম্বার ৮



বাজারেই ইতিমধ্যেই ১০০ মেগাপিক্সেল এর উপরের ক্যামেরা মোবাইল ফোন এসে পড়েছে। কিন্তু এক লক্ষ টাকা দামের আইফোন এখনো পর্যন্ত কেন ১২ মেগাপিক্সেল নিয়েই পড়ে আছে! যদিও আইফোনে মাত্র ১২ মেগাপিক্সেল কিন্তু তারপরও আইফোনে থাকা ক্যামেরা প্রসেসিং পাওয়ার স্টোরেজ স্পেস এবং লেন্স কোয়ালিটি অনেক হাইটেক হয়ে থাকে। ১০৮ মেগাপিক্সেল শুনতে যদিও অনেকটা অ্যাট্রাক্টিভ মনে হয়, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ক্যামেরা মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে মোবাইলের প্রসেসরে ততো বেশি প্রেশার ক্রিয়েট হবে।

তাছাড়া ও মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ছবি কতটা ভালো হবে তা শুধুমাত্র মেগাপিক্সেলের উপর ডিপেন্ড করে না। বরং এগুলো অন্য কোন ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে। যেমন সেনসর সাইজ, লেন্স, অ্যাপাচার এবং সফটওয়্যার। আর এইসব জিনিসের উপর অ্যাপেল কোম্পানির যথেষ্ট ভাল কাজ রয়েছে। মেগাপিক্সেল শুধুমাত্র একটি ছবি সূক্ষ্ম ডিটেলস গুলোকে তুলে ধরে। আর এই জন্যই তো অ্যাপেল ফোন কম্পানির দাবি করে তাদের মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ১২ মেগাপিক্সেল হওয়ার পরও অন্য ফোনের ১০৮ মেগাপিক্সেল এর ফোনের চাইতেও ভালো কোয়ালিটির ছবি আপাকে দিতে পারবে।

তবে আমার মতে সত্যি বলতে কি অন্যান্য মোবাইল ফোন যেখানে বেশি মেগাপিক্সেল এর ছবি দিয়ে আরো ডিটেলস এর ছবি তুলতে পারছে সেখানে আপেলের উচিত শুধুমাত্র ১২ মেগাপিক্সেল নিয়ে পড়ে না থাকা। হয়তো মেগাপিক্সেল উন্নতি করলে অ্যাপেল থেকে আরো ভালো ছবি আশা করা যাবে।


ফ্যাক্ট নাম্বার ৯



আমাদের পরিচিত যে সকল ড্রোনগুলো মার্কেটে বিক্রি হয়ে থাকে সেগুলোও ২০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি উড়তে সক্ষম নয়। 
কিন্ত পৃথিবীতে সর্বাধিক সময় নিয়ে উড়তে সক্ষম যে ড্রোনটি রয়েছে তা একটানা ২৫ ঘন্টা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। অবশ্যই এটি কোন সাধারণ ড্রোন নয়। আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে দিই, এর নাম হচ্ছে RQ-4 Global Hawk। আর এটি ইউনাইটেড স্টেটের এয়ারফোর্সের সার্ভিলেন্স টিমের সাথে যুক্ত রয়েছে।

এই ড্রোনটি একটি ফ্লাইটে এক লক্ষ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা সার্ভে করতে সক্ষম। এছাড়াও এটি ১৩০০ কেজি ওজন বহন করতে পারে। এতো হাই ক্যাপাবিলিটি একটি ড্রোন উড়ানো মোটেই সহজ কাজ নয়। এই ড্রোনের প্রতি ঘন্টা ফ্লাইটে খরচ হয় ১৯ হাজার ডলার বা ১৬ লাখ টাকার কাছাকাছি। যার সাথে ফুয়েল ছাড়াও লজিক সাপোর্টের খরচও যুক্ত রয়েছে।

ফ্যাক্ট নাম্বার ১০



স্ক্রিনে দেখানো ছবিটি দেখে আপনাদের কাছে হয়তো নরমাল মূর্তি মনে হতে পারে। কিন্তু যখন আপনারা এর সত্যতা জানতে পারবেন যে এটি কোন মানুষের তৈরি নয় বরং প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে তখন নিশ্চয়ই আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। আশ্চর্যজনক এই প্রাকৃতিক প্রতিকৃতিটি আইসল্যান্ডের হেইমে আইল্যান্ড অবস্থিত। এই আইল্যান্ডটি

এলিফেন্ড রক আইল্যান্ড নামে পুরো পৃথিবীতে জনপ্রিয়। আনবিলিভেবল এই রকম রক ফরমেশনটি সৃষ্টি হয়েছিল অগ্নিগিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে।


প্রিয় ভিজিটর আশা করি আজকের ফ্যাক্ট গুলো ভাল লেগেছে। এরকম আরোও নিত্য নতুন জিনিস সম্পর্কে জানতে চোখ রাকুন আমাদের বিডি আইটি দুনিয়া ওয়েবসাইট এ। আমি আজকের মত বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ.

Post a Comment

Previous Post Next Post