প্যানিক অ্যাটাক কি? লক্ষণ ও প্রতিকার

প্যানিক অ্যাটাক কি? লক্ষণ ও প্রতিকার



আমাদের জীবনে চলার পথে কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতেই হয়। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা নানা রকম চিন্তাভাবনা করতে থাকি। কিন্তু সেই চিন্তা ভাবনাই যদি আমাদের মানসিক কিংবা শারীরিক ক্ষতির কারণ হয়ে দ্বারায় তখন আমাদের প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা হয়। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন যে, ' প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন জীবনে কোনো না কোনো সময়ে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হয়।


প্যানিক অ্যাটাক কি?

প্যানিক অ্যাটাক এক ধরনের মানসিক সমস্যা। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা-ভয়ভীতি, আতংকিত হয়ে হঠাৎ করেই শারীরিক প্রতিক্রিয়া ঘটলে বা উপসর্গ প্রকাশ পেলে তাকে প্যানিক অ্যাটাক বলা হয়। এর পেছনে যুক্তিসংগত কোনো কারণ বা প্রকৃত বিপদের উপস্থিতি থাকে না। যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। তবে মজার বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউটের সাইকিয়াট্রিস্ট ডেভিড এ. মেরিল বলেন,"অনেকের প্যানিক অ্যাটাক একবার হলেও পরবর্তীতে আর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে অন্যকারোর অনেকবার প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে।"

প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ সমূহঃ-

প্যানিক অ্যাটাকের স্থিতিকাল সাধারণত ১০ মিনিট। কিভাবে বুঝবেন আপনার প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে তা নিম্নরুপে যুক্ত করা হলোঃ-

• শরীর গরম অনুভব হওয়া বা ঠান্ডা অনুভব হওয়া। 
• বুক ধরফর করা
• অস্বাভাবিক ঘামানো
• শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
• প্রচন্ড ভয় পাওয়া 
• শ্বাস আটকে আসা
• মতে যাওয়ার ভয়
• মাথা ঘোরানো 
• গা বমি বমি করা
• হাত পা কাপা
• মাথা ঘোরানো 
• হাত এবং পা সারা দেহ অসাড় হয়ে থাকা অথবা শিরশির করা
• হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
• পেশিতে টান
• অস্থিরতা 
• মেজাজ খিটখিটে বা অত্যন্ত রাগ 

প্যানিক অ্যাটাকের প্রতিকারঃ-

কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যানিক অ্যাটাক অত্যন্ত যত্রণাদায়ক এবং অস্বস্তিকর হতে পারে শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই। এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মকে ক্ষতিসাধন করতে পারে এবং আপনার মানসিক স্বাস্থের ক্ষতিসাধন করতে পারে। 

যেভাবে প্যানিক অ্যাটাক নিয়ন্ত্রণ করবেন তা নিম্নরুপঃ-

• প্রাত্যহিক জীবনে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা
• ভীষণ খিটখিটে মেজাজ পরিহার করা
• নিয়মিত ব্যায়াম করা
• স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা
• উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করা
• নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং তা মেনে চলা
• ড্রাগ কিংবা মধ্যপান অথবা মাদকদ্রব্য সেবন পরিহার করা
• সময়মত ঘুমাতে যাওয়া
• পুরোনো কথা মনে পড়ে এমন মানুষ, কার্যকলাপ অথবা স্থানগুলোকে এড়িয়ে চলা।

Post a Comment

Previous Post Next Post