অসুস্থতা নিজেই পালাবে ৯ টি উপায় অবলম্বন করুন

সুস্থ থাকার  ৯ টি টিপস ঃ

                                অসুস্থতা নিজেই পালাবে ৯ টি উপায় অবলম্বন করুন
শীতকালে শরীর সব সিজনের থেকে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠান্ডাতে সর্দি-কাশি তো প্রায়ই লেগে থাকবেই। সর্দি-কাশি তো ছোঁয়াচে রোগ, তাই এই জীবাণু অন্য কোনো মানুষের শরীরে মাধ্যমে আপনার শরীরে অনায়াসেই চলে আসে। আর শীত শুরু হওয়ার দিকে কোনোভাবে যদি একবার সেই জীবাণু আপনার শরীর এ প্রবেশ করে, তাহলে তো আপনার আর রক্ষা নাই। সমস্ত শীত কাল আপনার শরীরের নাজেহাল অবস্থা বানিয়ে ছাড়বে। 
সুতরাং,  শীতকালে যাতে কোনো রোগ-জীবাণু আপনাকে এবং আপনার বাচ্চাকে আক্রমন না করতে পারে সে জন্য নিচে আপনা জন্য কিছ উপায় উল্লেখ করা হলোঃ


প্রচুর কলম কিনে নেন। এটা শুনতে কিছুটা অবাক হলেন তাইতো ? অনেকের মধ্যে কলম হারিয়ে ফেলার একটা অভ্যাসের মতো দেখা যায়। এছাড়া অনেকেই দোকান, ব্যাংক ইত্যাদি যায়গায় অন্যের কলম নিয়ে স্বাক্ষর করে। এই কলমের মাধ্যমেই রোগ-জীবাণু চলে আসতে পারে আপনার শরীরে। ধরুন আপনি যার থেকে কলম নিচ্ছেন অথবা যাকে কলম দিচ্ছেন, সেই ব্যক্তি তো কিছু সময় আগে মুখে হাত দিয়ে নিজের হাঁচি অথবা কাশি চেপেছেন। সেই জীবাণুই কলমের মাধ্যমে আপনার শরীরে চলে আসে। সুতরাং কারো পেন একেবারেই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আগে থেকেই নিজের ব্যাগে একটা পেন ফেলে রাখুন। যদি কোনও কারণে নিয়ে যেতে ভুলে যান তাহলেও ব্যাগ থেকেই পেয়ে যাবেন।

২. স্যানিটাইজার
ব্যাগে সব সময় স্যানিটাইজার রাখুন ।  শীতকালে বাতাসের মধ্যে জীবানুর পরিমাণ খুব বেশি বেড়ে যায়। তাই বাইরে খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই স্যনিটাইজার লাগিয়ে নিন হাতে। এতে করে যদি আপনি হাত নাও ধুতে পারেন তাহলেও কোনও সমস্যা হবে না। এমনকি আপনার বাচ্চার স্কুল ব্যাগেও রেখে দিন স্যানিটাইজার। বাচ্চারা খুব বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়না সুতরাং প্রাত্যহিক রুটিনের মধ্যেই খাবার আগে হাতে স্যানিটাইজার লাগানোর কথা তাকে শিখিয়ে দিন।



৩. বন্ধু বাড়িয়ে নিন।  স্যানিটাইজার এবং কলমের মতোই এটাও একটি গুরুত্বপূর্ন কথা।  একটি পরীক্ষায় থেকে প্রমান পাওয়া গেছে যাঁদের যত বেশি বন্ধু তাঁরা রোগ সংক্রমণে ভোগেন অনেক কম। আপনি যত বেশি একা থাকবেন আপনার মাথায় শরীর খারাপের কথা সব সময় ঘুরবে। কিন্তু আপনি যদি অনেক মানুষের মধ্যে থাকেন তাহলে হিউম্যান সাইকোলজি মতে, আপনার শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে। শরীর খারাপের কথা মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে।


৪. ঝগড়া করুন ঝগড়া করুন শরীর ভালো থাকবে। আপনার নিজের রাগ শরীরের মধ্যে পুষে রাখবেন না। রাগ বের দেওয়াই সব থেকে ভালো। রাগ পুষে রেখে দিলে ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যেতে পারে। তাই রাগ পুষে না রেখে যার ওপর মাথা গরম হয়েছে তার সঙ্গেই ঝগড়া করে নিতে পারেন। এর জন্যই বিবাহিত দম্পতিদের শরীর বেশ ভালোই থাকে। তবে আপনার বসের ওপর রাগ হলে তাঁর সঙ্গে যেন ঝগড়া করতে যাবেন না। কাজের মানুষের ওপর অবলীলায় সেই রাগ বের করে দিতে পারেন।



                            মহিলাদের স্বাস্থ্য টিপস


৫. ম্যাসেজ করুন শীতকালে ঠান্ডার ফলে আমাদের পেশি শক্ত হয়ে যায়। তাই পেশির মধ্যে রক্ত চলাচল যাতে ঠিক থাকে তার জন্য সপ্তাহে এক বার ম্যাসেজ করাতেই পারেন। এর ফলে আপনার গায়ে ব্যথাও কমে যাবে।

৬. ভিটামিন
ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ওষুধ খেতে পারেন। যেমন ধরুন ভিটামিন A, B-6, B-12, C এবং D খেতেই পারেন। খাবারে সঙ্গে যদি এই সব খাবার আপনার শরীরে না যায় তাহলে ভিটামিন ওষুধ খেতেই পারেন।

৭. হাত ধুয়ে নিন বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকেই আগে হাত-পা-মুখ ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। এমনকি বাইরের জামা-কাপড় পড়ে ঘরে এসে না বসাই ভালো। কারণ আপনার জামার ধুলো ময়লা বিছানে বা সোফাতে লেগে যেতে পারে। যার ফলে আপনার পরিবারের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।


৮. ভালো করে ঘুমানো উচিত, ব্যস্ত জীবনে ঘুমের ব্যঘাত ঘটাটা খুবই সাভাবিক । তাই বাড়িতে এসে অফিসের কোনও কাজ না করে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন। এছাড়া ছুটির দিনে প্রায় ৭থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। এরপর অফিসের


কাজ করুন। নয়ত কোনও কাজ করতেই ভালো লাগবে না।


৯. এড়িয়ে চলুন ধরুন আপনার গ্রুপের মধ্যে কারোর সর্দি-কাশি হয়েছে। তাহলে সেখান থেকে নিজেকে এড়িয়ে রাখুন। একই ভাবে যদি আপনিও সর্দি-কাশিতে ভোগেন তাহলে গ্রুপের মধ্যে না যাওয়াই ভালো।

ভালো মনে হলে শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন।
ধন্যবাদ এতক্ষন সাথে থাকার জন্য। 

2 Comments

Previous Post Next Post