অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান?
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের টিউনে আজকের টিউনে আমি আতিকুর জামান আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করবো এসইও সম্পর্কে এই বিষয়ে আগে থেকে অনেক কিছুই হয়তো আপনি জেনে থাকতে পারেন। তবে কথা দিচ্ছি এই টিউনটি পড়ে এসইও বিষয়ে আপনার ধারনাটায় পালটিয়ে যেতে পারে। আর নতুনদের জন্যে এই টিউনটি অনেক কাজে দিবে বলে মনে করি আমি, চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করে আজকের টিউন।
এসইও কি ?
একদম সাধারনভাবে বুঝায় কোনো কঠিন ব্যাখ্যাতে না গিয়ে ...
এসইও হচ্ছে সেই কাজের নাম যেই কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটটি আপনি যে নির্দিষ্ট কি ওয়ার্ড নিয়ে বানিয়েছেন, সে কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করলে সার্চ রেসাল্টের প্রথম পেইজেই আসবে।
মনে করুন আপনার সাইটটি হচ্ছে মোবাইল রিভিউ নিয়ে, এখন গুগলে যদি কেউ মোবাইল রিভিউ লিখে সার্চ দেয় আপনি চাচ্ছেন না সর্বপ্রথম রেসাল্টে সে আপনার সাইটটিই দেখুক। সবার প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসতে পারার জন্যে যে কাজটি করতে হয় তার নামই হচ্ছে এসইও।
এসইও হচ্ছে সেই কাজের নাম যেই কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটটি আপনি যে নির্দিষ্ট কি ওয়ার্ড নিয়ে বানিয়েছেন, সে কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করলে সার্চ রেসাল্টের প্রথম পেইজেই আসবে।
মনে করুন আপনার সাইটটি হচ্ছে মোবাইল রিভিউ নিয়ে, এখন গুগলে যদি কেউ মোবাইল রিভিউ লিখে সার্চ দেয় আপনি চাচ্ছেন না সর্বপ্রথম রেসাল্টে সে আপনার সাইটটিই দেখুক। সবার প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসতে পারার জন্যে যে কাজটি করতে হয় তার নামই হচ্ছে এসইও।
সঠিকভাবে এসইও করতে পারলে আপনার কপাল খুলে যাবে...
হ্যা যেটা পড়লেন ঠিকই বলেছি, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কি পরিমান সার্চ রেগুলার হয়ে থাকে তা আশা করি আপনাদের যে কারোরই ধারনায় থাকার কথা।
নির্দিষ্ট কোনো নিস বা ক্যাটাগরি নিয়ে তৈরি ওয়েবসাইট, যে নিসের বর্তমান পৃথিবীতে ভালোমানের চাহিদা আছে, সে ওয়েবসাইটটি যদি গুগলের প্রথম পেইজে নিয়ে আসতে পারেন। অর্থাৎ সেই নির্দিষ্ট নিসের সাথে সম্পর্কিত কি-ওয়ার্ড দিয়ে যখন মানুষ সার্চ করবে তখন যদি আপনার ওয়েবসাইটটাই সর্বপ্রথম তাদের চোখে পড়ে তাহলে নিশ্চিত থাকুন আপনার ওয়েবসাইটের ঐ একটি পেইজ যেটা সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করেছে সেটা থেকে আপনি ভালো মানের অর্থই উপার্জন করতে চলেছেন।
মুলত বিভিন্ন নিস নিয়ে ব্লগিং করা লোকেরা যে বিষয়টির মাধ্যমে তাদের মুল ইনকাম করে সেটা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি হইতো ফেইসবুক বা অন্য কোনো সোস্যাল মিডিয়া থেকে ভালো মানের ট্র্যাফিক নিয়ে আসতে পারবেন আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে।
কিন্তু যখন কেনার ব্যাপার আসবে তখন হয়তো ১% ব্যক্তিও সেই পন্যটি কিনবে বলে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। অন্যদিকে গুগলে যখন কেউ কিছু সার্চ করে তার সে জিনিসের দরকার বলেই সে তার জন্যে সার্চ করে। সুতারাং আশা করি বুঝতেই পারছেন, আমি আসলে কি বুঝাতে চাচ্ছি।
এসইও'র সম্পুর্ন রুপ কি?
এসইও শব্দটির সম্পুর্ন রুপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সাধারনত এসইও হচ্ছে আপনার সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্যে অপ্টিমাইজ করা যাতে তারা আপনার ওয়েবসাইটটিকে সার্চ রেসাল্টে প্রথমে দেখায় যখন আপনার ওয়েবসাইট রিলিটেড কি-ওয়ার্ড নিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করা হয়।অনেকেই হইতো মনে করে থাকবেন এই অপটিমাইজেশনের বিষয়টি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন একটি কাজ, তবে আপনাদের কথা দিচ্ছি না কাজটি মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়। গুগলের প্রথম পেইজে নিজের ওয়েবসাইটটিকে র্যাঙ্ক করানোর জন্যে শুধুমাত্র ২ টি জিনিস সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানা থাকা লাগবে।
- আপনি যে কি ওয়ার্ডটি'র জন্যে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটটি র্যাঙ্ক করাতে চান সে কি ওয়ার্ড বা ওয়ার্ডসগুলি যথাযথভাবে আপনার সাইটে ব্যবহার করা।
- অন্যান্য হাই-কোয়ালিটি সাইটে আপনার লিঙ্ক রেখে আসা যাতে সেসব হাই-কোয়ালিটি সাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে।
আমি এখন পুরো বিষয়টি আরো বিস্তারিত ভাবে বর্ননা করছি
প্রথম বিষয়টি হচ্ছে সেসব ওয়ার্ডগুলো যথাযথ ব্যবহার করা যার জন্যে আপনি গুগলে র্যাঙ্ক করাতে চাচ্ছেন আপনার সাইটকে। যেসব ওয়ার্ডস গুলো'কে মুলত কি-ওয়ার্ডস বলে ডাকা হয়। ধরুন যদি মোবাইল রিভিউ যারা দেখতে চায় তাদের জন্যে আমার সাইটটি বানানো হয়ে থাকে, তাহলে মোবাইল রিভিউ হচ্ছে আমার সাইটের কি-ওয়ার্ড। এখন আপনার যা করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার কি-ওয়ার্ডটি যাতে আপনার ওয়েবসাইটে যথাযথ ভাবে যত বেশি ব্যবহার করা যায় তত বেশি কি-ওয়ার্ডটি ব্যবহার করে। তবে এমনভাবে ব্যবহার করবেন না যাতে লোকজন দেখে বিরক্ত হয়।
ধরুন মোবাইল রিভিউ নিয়ে বানানো সাইটটিতে কি-ওয়ার্ড র্যাঙ্কের উপর জোর দিতে গিয়ে আমি লিখে ফেললাম।
এটা মোবাইল রিভিউর ওয়েবসাইট, মোবাই রিভিউ বানাই আমি, মোবাইল রিভিউ ছাড়া মোবাইল কেনা ঠিক নয়, মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই মোবাইল রিভিউ দেখে কিনুন।
এটা মোবাইল রিভিউর ওয়েবসাইট, মোবাই রিভিউ বানাই আমি, মোবাইল রিভিউ ছাড়া মোবাইল কেনা ঠিক নয়, মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই মোবাইল রিভিউ দেখে কিনুন।
বিষয়টি কেমন জেনো বিরক্তিকর দেখায় তাই না? এর চাইতে হইতো এই লিখাটা এভাবে লেখা যেতো। এই ওয়েবসাইটটি মোবাইল রিভিউ নিয়ে তৈরি করা একটি ওয়েবসাইট, এই ওয়েবসাইটে আপনারা বিভিন ক্যাটাগরির মোবাইলের রিভিউ দেখতে পাবেন। একটি ভালো মানের মোবাইল কেনার আগে সে মোবাইলটির রিভিউ দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি যাতে আপনার আইডিয়া থাকে যে আপনি কি ধরনের প্রোডাক্ট ক্রয় করছেন আপনাদের সে কাজটি করে দেওয়ার জন্যেই আমাদের মোবাইল রিভিউর সাইটটি বানানো।
সার্চ ইঞ্জিনের পক্ষে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট মানুষ দিয়ে পরীক্ষা করে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করানো কোনোভাবেই সম্ভব না কোনসাইটটি কি সম্পর্কে বানানো সেটা বের করা, এবং সে সাইটটির যোগ্যতা অনুযায়ী সে সাইটটিকে গুগলে র্যাঙ্ক করা রোবটের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি কি সম্পর্কে বানানো সেটা বুঝার চেষ্টা করে কোন কি-ওয়ার্ডটি কতবার কিভাবে কিভাবে বা কোন জায়গায় ব্যবহার করেছেন সেটা সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে। সে জ্ঞান অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটটিকে যথাযথ স্থানে র্যাঙ্ক করায় সার্চ ইঞ্জিনের।
তাই আপনি যদি সম্পুর্ন ভালোভাবে এসইও করতে চান আপনার যেকোনো নির্দিষ্ট নিস নিয়ে বানানো ওয়েবসাইটটি তাহলে, ওয়েবসাইটের নামে, ওয়েবসাইটের টাইটেলে, কন্টেন্টের মধ্যে, ইমেজ ডেসক্রিপশনে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় যত বেশি পারা যায় আপনার নির্দিষ্ট নিস কি-ওয়ার্ডটি যথাযথ ভাবে ব্যবহার করুন।
প্রথম যে কাজটির কথা বললাম ওয়েবসাইটের যথাযথ স্থানে যথা যথ ভাবে কি-ওয়ার্ডস ব্যবহার করার কথাটি সেটা হচ্ছে এই কাজের সহজ দিকটি ২য় যে পদ্ধতি নিয়ে এখন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো এটা মোটামোটি ঝামেলার একটি পদ্ধতি তবে এই পদ্ধতি অনুসরন করেই আপনি আপনার কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
এটা হচ্ছে অন্যান্য ভালো কোয়ালিটির ওয়েবসাইট গুলোতে যাতে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক থাকে, সাধারনভাবে বুঝাই বিষয়টি হচ্ছে আপনার সাইটটির লিঙ্ক আপনি বিভিন্ন হাই কোয়ালিটি ওয়েবসাইটে যথাযথভাবে সাবমিট করবেন (ফেইসবুক পেইজ, ফেইসবুক প্রোফাইল, টুইটার, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি) যার মাধ্যমে ঐ ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। যাকে ব্যাঙ্ক লিঙ্কিং করা বলা হয়।
আগেই একবার বলেছি গুগলের পক্ষে সম্ভব না কোনো জনবল নিয়োগ করে কোন সাইটটি কেমন সেটা চেক করার এবং সাইটের মান অনুযায়ী সেটাকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করার। গুগল তাই যেটা করে সেটা হচ্ছে গুগল প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট স্ক্যান করে এবং দেখে কোন ওয়েবসাইটটির লিঙ্ক কোন ওয়েবসাইটে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ ধরুন আপনার ওয়েবসাইট এ ডট কমের লিঙ্কটি যদি আপনি ফেইসবুক টুইটার পিন্টারেস্ট সব জায়গায় যথাযথভাবে (যাইচ্ছেতা ভাবে না) টিউন করেন তাহলে গুগল সার্চ ইঞ্জিন যেটা করে সেটা হচ্ছে সে মনে করে আপনার সাইটটি তো আসলেই ভালো, তাই কেননা আপনার সাইটটিকে আরো একটু উপরে নিয়ে যাওয়া যাক গুগল সার্চের রেসাল্টে।
এভাবেই যখন আপনার ওয়েবসাইটটির অনেক ব্যাক লিঙ্ক তৈরি হবে হাই কোয়ালিটি ওয়েবসাইটগুলোতে তখন গুগল সেটাকে একটি ভালো দিক হিসেবে ধরে নিবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে, অনেকটা বড় কারো রেকমেন্ডশনের মত। ভালো কোনো চাকরি দরকার, আপনার যদি গন্যমান্য কোনো পরিচিত ব্যক্তি থাকে এবং তিনি যদি আপনার সম্পর্কে ভালো জেনে থাকেন তাহলে তার রেকমেন্ডশনটি কিন্তু আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা কে অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে, গুগলের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি সেই একই রকমের।
একটা কথা মনে রাখতে হবে ব্যাক লিঙ্ক হতে হবে হাই কোয়ালিটি সাইট থেকে, অর্থাৎ অনলাইনে অনেকদিন ধরে আছে, জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এমন ওয়েবসাইটে হতে হবে আপনার লিঙ্কগুলো। স্প্যামিং করে যেকোনো জায়গায় নিজের সাইটের লিঙ্ক রেখে আসা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ না কারণ এতে গুগল সার্চ ইঞ্জিন রোবট আপনার সাইটটিকে স্প্যাম সাইট মনে করবে এবং সার্চ ইঞ্জিনে ভালো মানের র্যাঙ্ক হতে দিবে না।
একদম সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে আপনারা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে একটি ব্লগ সাইট এবং ৩,৪ ঘন্টার মধ্যেই ভালো মানের কয়েকটি আর্টিকেল তৈরি করে সেই সাইটটি যদি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করাতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইন থেকে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করি আমি।
ব্লগ টিউন লিখার পরে, টিউনটি ফেইসবুক,গুগল+,পিন্টারেস্ট সহ যত জায়গায় সম্ভব সুন্দরভাবে শেয়ার করুন।
যে নিসের ব্লগ লিখেছেন ধরুন মোবাইল রিভিউ, তাইলে গুগলে সার্চ দিতে পারেন মোবাইল রিভিউ ফোরামস লিখে, এবং সেখানে আপনার লিখাটি টিউন করুন। যে নিস নিয়ে কাজ করছেন সেটা নিয়ে যদি আপনার আসলেই সফল হতে ইচ্ছা হয় তাহলে প্রথমে আপনাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে সময় ব্যয় করতে হবে ঐ একটি সাইটের পিছনে যা থেকে পরবর্তিতে আপনারা অটো পাইলট পদ্ধতিতে অর্থাৎ কোনো কাজ না করা ছাড়াই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আজকের টিউনটি এখানেই শেষ করছি, আগামী টিউনগুলোতে কিভাবে সহজে ব্লগ সাইট সেটাপ করা যায় ১০ মিনিটের মধ্যে, কিভাবে হাই কোয়ালিটি ওয়েবসাইটগুলোতে ব্যাঙ্ক লিঙ্ক বিল্ড করবেন এইসব বিষয় সমুহ নিয়ে টিউন লিখার ইচ্ছা আছে যদি যথাযথ পরিমানের সাড়া পাই তাহলে। তার আগে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি। কেমন লাগলো জানান টিউনেমেন্টে শেয়ার করুন অন্যদের সাথে যাতে তারাও জানতে পারে এই বিষয়ে।